ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ রবিবার রাতে ঢাকার বাসাবো এলাকার একটি বাসায় র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দেলোয়ার হোসেন দিলীপ (৪৯) শহরের কান্দিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলাম নেপালের ছেলে ও মামলার দ্বিতীয় আসামি একই এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (২৮)।
র্যাব-৯ (সিপিসি-১) এর কোম্পানী কমান্ডার মোঃ নুরনবী জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র্যাব সদস্যরা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে জোরালো তৎপরতা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার বাসাবো এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করে। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত দিলীপ ও বাবুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় লায়ন শাকিল গ্রুপ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলিপ এর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লায়ন শাকিল ও তার সহযোগীরা দেলোয়ার হোসেন দিলীপের লোকজনের উপর এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এরপর থেকেই কান্দিপাড়া এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। ওইদিন রাতেই ফের গুলা গুলির ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম নিহত হয়। নিহত সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ রাতে দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সাদ্দামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার নিহত সাদ্দামের পিতা মস্তু মিয়া বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন দিলীপ সহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।