বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে দেশের বাজারেও সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ২ টাকা করে বাড়িয়েছে সরকার। রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন দর সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী: ডিজেল লিটার ১০৪ টাকা, কেরোসিন ১১৬ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা এবং অকটেন ১২৪ টাকা।
সরকার গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করেছে। সেই অনুযায়ী প্রতি মাসেই নতুন মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। একইভাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে মোট চাহিদার ৭৫ শতাংশই ডিজেল, যা কৃষি সেচ, পরিবহন ও জেনারেটরে বেশি ব্যবহৃত হয়। বাকি অংশ পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল ও ফার্নেস অয়েলে।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রিতে সবসময়ই বিপিসি লাভবান হয়। তবে ডিজেল বিক্রি থেকেই সংস্থাটির লাভ–লোকসান নির্ধারিত হয়। আগে জেট ফুয়েল ও ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করত বিপিসি; এখন তা করছে বিইআরসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিবেশী ভারতসহ উন্নত বিশ্বে মাসভিত্তিক জ্বালানির দাম নির্ধারণ একটি প্রচলিত পদ্ধতি। আইএমএফের ঋণশর্তের অংশ হিসেবে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশেও স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশে কমবে—আবার বাড়লে দেশের বাজারেও বৃদ্ধি পাবে।