
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অনেকে ক্ষমতায় গেলে জুলাই সনদ ও নানা চেতনা বাস্তবায়নের কথা বলেছে। সবার প্রতি সন্মান রেখে বলতে চাই, দেশ গড়তে বিএনপির মতো পরিকল্পনা আর কোনও রাজনৈতিক দল নেয়নি। আমাদের বাস্তবধর্মী হতে হবে এবং মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। মানুষ কী চাইছে, তা দেখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের প্রযুক্তি ও ভাষাগত জ্ঞান বাড়াতে হবে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদল নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সকালে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
ছাত্রদলের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, সামনের যুদ্ধটা অনেক কঠিন। ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে আরও ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে। আন্দোলনের সময় যেমন জনগণকে বুঝিয়েছিলেন, তেমনি দেশ গড়ার পরিকল্পনা সম্পর্কেও তাদের বোঝাতে হবে। কারণ জনসম্পৃক্ততা ছাড়া কোনও কিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীতে রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে নিজেদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের জন্য আমরা ফার্মার কার্ড করেছি। যার মাধ্যমে বিনামূল্যে সারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরকারের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হবে। এতে পর্যায়ক্রমে একজন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকও স্বাবলম্বী হতে পারবে।
তারেক রহমান বলেন, অতীতে তিন ফসল ফলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বিএনপির আগামী দিনের পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে এ বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষির উন্নতিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি আবার হাতে নেওয়া হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তরুণদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের ওপর পরামর্শ দেন। নিজেরা দক্ষ হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সহজ হয়। বিশেষ করে ভাষাগত জ্ঞান থাকলে তাদের কর্মসংস্থান ও আয়-উন্নতির সুযোগ আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।
প্রবাসীদের জিয়াউর রহমানের নানা উন্নয়নের কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ সেক্টরকে আরও শক্তিশালী করবো। বিশেষ করে প্রবাসীদের স্বার্থরক্ষা এবং ভালো মানের কর্মী পাঠানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দিনের সকালে উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দিনব্যাপী মতবিনিময়ের সমাপনীতে বিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতারাও এতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।