আলোচিত ছাত্র দল নেতা সাদ্দাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের ফাঁসি ও দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর জুড়ে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার পর কান্দিপাড়া এলাকায় জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক প্রতিবাদ সমাবেশে দিলীপের সর্বোচ্চ শাস্তি ও দ্রুত বিচারের দাবি তুলে ধরেন।
সোমবার বিকেলে ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর মডেল থানা ঘেরাও করেন। এ সময় ‘দিলীপের ফাঁসি চাই’, ‘হত্যার বিচার চাই’ স্লোগানে পুরো থানা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন-সাদ্দাম হত্যার বিচার বিলম্ব হলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে। তারা দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে রিমান্ডে এনে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবে দিলীপ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নানা অপকর্ম চালিয়ে আসলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
থানা ঘেরাও শেষে বিক্ষোভকারীরা পুনরায় মিছিলসহকারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং সেখানে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীন, কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামিম মোঃ আরিফ, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা,
সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্যঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লায়ন শাকিল গ্রুপ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লায়ন শাকিল ও তার লোকজন দিলীপপন্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ—বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও তারা দাবি করেন।
সাদ্দাম হত্যার বিচার ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিলীপের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন প্রতিদিন আরও গতি পাচ্ছে।