
মেহেরপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, আমরা জানি সংবাদপত্র হচ্ছে একটি রাষ্ট্র ও সমাজের আয়না। গণমাধ্যমের যে সব সংবাদ প্রকাশ করা হয় তার মাধ্যমে শুধু আমরাই নয়, রাষ্ট্রের সকলেই সচেতন এবং জানতে পারে। সে ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এজন্যই গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। এই চতুর্থ স্তম্ভ ছাড়া গণতন্ত্র ও সরকার ঠিকভাবে পরিচালিত হয় না। সে জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের আামদের সহকর্মী হিসেবে মনে করি। কারণ আমরা যে ঝুকি নিয়ে কাজ করি ঠিক তেমনিই আপনাদের ঝুকি নিয়ে কাজ করতে হয়। যা আমরা অতীতে দেখেছি, বর্তমানেও দেখছি। আমাদের তো নিজেদের নিরপত্তার ব্যবস্থা থাকে কিন্তু আপনারা কোন নিরাপত্তা বা ব্যবস্থাপনার কথা না ভেবেও ঝুকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন। কাজেই আমাদের আপনাদের সমান ঝুকি হলেও ক্ষেত্র বিশেষে আপনাদের ঝুকিই বেশি। এজন্যই এই পেশাকে আমরা সকলেই সম্মান করি।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামিনুর রহমান খান,, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) , মেহেদী হাসান দিপু, ডিবি ওসি মুহাদ্দিন মোর্শেদ চৌধুরী, সদর থানা ওসি হুমায়ন কবির, গাংনী থানা ওসি কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস, মুজিবনগর থানা ওসি জাহিদুল ইসলাম, ডিএসবির ডিআইও–১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ফিরোজুর রহমান, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোযাম্মেল আযম,
মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিকসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা এলাকার অনলাইন জুঁয়া, চুরি, ডাকাতি, মাদক সমস্যা, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নবাগত পুলিশ সুপার এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং মাদক নির্মূলে কঠোর হওয়ার অঙ্গীকার করেন।