
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় ছোট্ট মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হামলা ও জবর দখলের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৫ ডিসেম্বর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী ব্যাসায়ী ছোট্ট মিয়া। অভিযুক্তরা হলেন মেড্ডা এলাকার সৈয়দ কাসেম, সাদেক মিয়া, নজরুল ইসলাম ও আফরোজা। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভূক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মেড্ডা এলাকার সাদেক মিয়া তার সঙ্গীয়দের সাথে নিয়েশহরের পূর্বমেড্ডাস্থ সিভিল সার্জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনস্ত বক্ষব্যধি হাসপাতালের ভূমি বেআইনীভাবে দখল করেছিলো। যার ফলে সিভিল সার্জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃপক্ষ সরকারী ভূমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার জন্য জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং গত ২ মে আফরোজাসহ ভূমি দখলদারদের উচ্ছেদ করে। এরপর থেকে সাদেক মিয়াসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা আফরোজা বেগমকে দিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছোট্ট মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রতিবেদন ও পৌর ভূমি অফিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৩ জুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উভয় পক্ষের শুনানী গ্রহন শেষে ছোট্ট মিয়াসহ অপরাপরগনকে মোকাদ্দমার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মামলা দিয়ে ছোট্ট মিয়াকে হয়রাণি করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন পোর্টালে সুনাম ক্ষুন্ন করে বক্তব্য প্রচার করছে। শুধু তাই নয় গত ৫ ডিসেম্বর ছোট্ট মিয়া তার ভূমিতে দোকান ঘরের টিন লাগাতে গেলে অভিযুক্তরা ছোট্ট মিয়াসহ তার স্ত্রী পারভীন বেগমসহ পরিবারের লোকজনদের মারধর করে আহত করা হয়।
হামলার শিকার ছোট্ট মিয়া জানান, আমি ৮ বছর মামলা বেয়ে আমার জায়গা আমি বুঝে পাই। যার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যু ওই মহলটি বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবী করে আসছে। তা না দেয়াতে তারা আমাকে নানাভাবে হয়রাণিসহ মারধরের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যার সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছি। আমি এই হয়রাণি থেকে মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ১ নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।