আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। আসন্ন এই নির্বাচনে প্রার্থীদের অস্ত্র রাখার বিষয়ে প্রয়োজনে আচরণবিধি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে। যারা অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাদের অস্ত্রও ফেরত দেওয়া হবে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালাও জারি করা হয়।
এই বিষয় নিয়ে ইসির অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন যে এটা আমাদের (ইসি) কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে; নিরাপত্তার সব ক্ষেত্রে এটা কী খুব একটা গ্রহণযোগ্য কথা। অন্যরা (স্বরাষ্ট্র) এটা ভালো মনে করেছেন, করেছেন। এখানে তো আমরা সবাই নিশ্চয়ই একমত যে নিরাপত্তার বিষয়টা প্রাধান্য পাক।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় জিনিসটা হচ্ছে এর সঙ্গে আচরণবিধির আপাতত কোনও বিরোধ দেখছি না। যদি মনে করা হয় ওভার দ্য পিরিয়ড অফ টাইম, আচরণবিধি এখানে কোনও জায়গার সামান্য সংশোধন বা সংযোজন বা বিয়োজন বা অ্যাডজাস্টমেন্ট লাগবে; এটা করবো আমরা।
ভোটের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিধির কথা তুলে ধরলে ইসি সচিব বলেন, এটা তো সময়ের ব্যাপার। এটা কী করা হবে না হবে এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসবে। বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন যদি মনে করা হয়—এই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনায় নেবেন, সে অনুযায়ী এটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।