মেহেরপুরের মুজিবনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কামরুন নাহার ও সুখী খাতুন নামের দুই নারীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার একই উপজেলার বিদ্যাধরপুর বাজারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুখী খাতুনের স্বামী আবুল কালাম আজাদ মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মৃত অপে সদ্দারের ছেলে সাহাবদ্দীন, সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন, মৃত রহমতুল্লার ছেলে চাঁদ আলী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অভিযুক্তরা কালামের বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। কালাম বাড়িতে না থাকায় মা কামরুন নাহার ও স্ত্রী সুখী খাতুন তাদের বাড়িতে গালাগালি ও বাড়িতে প্রবেশে বাধা দিলে তাদের দুজনকে ইট ও কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
এর আগের গত ২৩ জুলাই কালামকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে অভিযুক্ত চাঁদ আলী, কাইফ ও নাইস নামের তিনজন। আবুল কালাম বলেন, আমার নানা ইসলাম বক্সের কোন সন্তান না থাকায় আমার মা কামরুন নাহারকে ছোট থেকে লালনপালন করেন। নানা শেষ জীবনে এসে তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি আমার মায়ের নামে লিখে দেন। নানা ১৯৯৬ সালে আরএস ৪৭৮ দাগে দেড় কাঠা জমি হাছিনা খাতুনের কাছে বিক্রি করেন। তিনি দীর্ঘদিন ওই জমিতে বসবাস করতেন।
৪৭৯ দাগটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় হাছিনা খাতুন ও নানার অন্যান্য শরীকরা যোগসাজসে ৪৭৮ দাগের জমি না নিয়ে ৪৭৯ দাগের জমি দখলের পাঁয়তারা ও দাবি করে। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হাছিনা খাতুন ৪৭৯ নং দাগের দলিল ও খাজনা খারিজের কাগজপত্র আদালতে দেখাতে না পারায় আদালতের রায় আমাদের পক্ষে দিয়েছে। যার জের ধরে আমার মা ও স্ত্রীর উপর হামলা করেছে। আবারও হামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। হামলার পর অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় এবিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।