মেহেরপুরের গাংনীর জোড়পুকুরিয়া এলাকায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে ইব্রাহিম হোসেন (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া বাজারের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইব্রাহিম হোসেন তেরাইল গ্রামের বাজার পাড়ার আজগর আলীর ছেলে এবং জোতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়ার দিক থেকে একটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস গাংনীর দিকে আসছিল। মোটরসাইকেল চালক দুই গাড়ির মাঝ দিয়ে টপকিয়ে সামনে উঠার চেষ্টা করছিল। এসময় মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে। ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে সড়কের উপরে ছিটকে পড়ে। এতে মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী এবং পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। তবে কুষ্টিয়া পৌঁছুনোর আগেই মিরপুর নামক স্থানে পৌছুলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে ট্রাকের চালক ব্রেক করে থেমে যায়। তবে পালিয়ে যায় মাইক্রোবাসটি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মূলত ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক কারও কিছুই করার ছিল না। মোটরসাইকেল চালক পূর্বের ন্যায় স্টার্ন দেখাতে গিয়ে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মাঝে প্রবেশ করে। দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল সামলাতে না পেরে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
স্থানীয়রা জানান, তার মত অনেক উঠতি বয়সী ছেলেরা প্রতিনিয়ত এভাবে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায় ওই রাস্তায়। যাদের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। তবে পারিবারিক কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এলকার মানুষ দর্শকের ভুমিকা পালন করছে।
অপরদিকে সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিল গ্রামের ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। রাস্তার উপর ওই বৃদ্ধার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের খবর দেন। পরে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বৃদ্ধার মরদেহ জেনারেল হাসপাতালে রাখা আছে।