দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি স্বাভাবিক ছিল দু,দেশের যাত্রী পারাপার কার্যক্রম। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম যাত্রী পারাপার করেছে।
কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে হিমায়িত মাছ, সিমেন্ট, তুলা, শুটকিসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। ২৬টি ট্রাকে করে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়। রপ্তানিকৃত পণ্যর মধ্যে হিমায়িত মাছের রপ্তানি আগের চেয়ে বেড়েছে। গত পাঁচ দিনে ৪০০টনের মত মাছ রপ্তানি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ১৪টি ট্রাকে ৯৮ টন মাছ আগরতলায় রপ্তানি করা হয়। এদিকে দিনভর প্রায় ১০০ জন ভারত ও বাংলাদেশের যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে পারাপার করেছেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশী যাত্রী ও ভারতীয় যাত্রীরা জানান, সেখানকার পরিবেশ অনেকটা শান্ত দেখা গেছে। যাতায়াতে কোন সমস্যা বা হয়রাণি হতে হয় নি। তবে হোটেল পরিসেবা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশি যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি নিরসনে তারা দু,দেশের রাষ্ট্র পর্যায়ের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
আখাউড়া আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের পুলিশের ইনচার্জ খাইরুল আলম জানান, সকাল থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভিবক রয়েছে। তবে বাংলাদেশি যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। আজ ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি যাত্রীদের হয়রানির কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।
উল্লেখ, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ইস্যু ও আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় চলমান পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত আখাউড়া- আগরতলায় বন্দরে পরিবেশ কিছুটা উত্তেজনা ছিল। এ সময় ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি যাত্রীরা ভারতীয় উগ্রবাদীদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন হন বলে অভিযোগ করেন। তবে ভারতে পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। এদিকে গত দুদিন ধরে যাত্রী হয়রাণির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।