মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামে ঘাস পোড়া বিষ প্রয়োগ করে নয়ন ও হারুন নামের দুই ব্যক্তির দশ কাঠা জমির সরিষা গাছ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আতর আলীর ছেলে আসকার আলী ও আক্কাসের বিরুদ্ধে। বুধবার দিবাগত রাতে বন্দর-বামনপাড়া জোলের মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এর আগের অভিযুক্তরা ধান, কলা ও ভুট্টা নষ্ট করেছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসকার ও আক্কাস। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে বলে জানান তারা। এবিষয়ে সদও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পাশের জমির মালিক মিঠু ফোন করে সরিষার জমিতে বিষ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের অবগত করে। পরে আমরা এসে দেখি জমিতে বিভিন্ন স্থানে বিষ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই গাছ ও পাতা পুড়ে নষ্ট হতে শুরু করেছে। বিষয়টি দেখে বন্দর মোড়ে গিয়ে বিষয়টি স্থানীয়দের জানাই। এসময় আসকার ও আক্কাস আমাদের মারধর করে। এর আগেও অভিযুক্তরা আমাদের কলা, ধান ও ভুট্টার ক্ষতি করেছে। তখন তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে। আমরা কোন বিচার পাইনি। বতর্মান সরকারের কাছে সকলস্তরের মানুষের সঠিক বিচারের সুযোগ তৈরী হয়েছে। আমারা আইনের কাছে এই ফসলের ক্ষতিপূরণ ও সঠিক বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় চাষিরা বলেন, মানুষের সাথে মানুষের মনোমালিন্য থাকতেই পারে তাইবলে ফসলের ক্ষতি করা কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। একজন চাষি কত পরিশ্রম করে ফসল ঘরে তোলে সে হিসাব কতজন রাখে। নিজের সন্তানের মতই পরিচর্যা ও ভালোবাসায় তিল তিল করে বড় গাছ। সেই গাছ যদি বিষ দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয় তাহলে কষ্টের শেষ থাকে না। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে ফসলে বিষ প্রয়োগ ও কেটে তছরুপ করার ঘটনা ঘটছে। এসব অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে আসকার বলেন, আমি সকালে কলার গাড়ি লোড সম্পন্ন করে এসে বাড়ি থেকে খাওয়াদাওয়া করে মোড়ে বসে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এসময় ওরা এসে সরিষা পুড়িয়েছিস কেন বলেই আমাকে মারধর শুরু করে দেয়। এসময় আমার ভাই এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। এসময় আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করি। সরিষা পুড়িয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।