পঞ্চগড়ের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিয়োগ পরীক্ষা বর্জন করেছে পরীক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনসহ স্বচ্ছ পরীক্ষার দাবিতে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন পরীক্ষার্থীরা।
পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা প্রায় তিন ঘন্টা সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর থেকে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান (এমআর) সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখার এ ঘটনাটি ঘটে। পরে দুপুরের দিকে তোপের মুখে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছেন পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান।
এদিকে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ নতুন করে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষার দাবি করে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখলে সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসে সরে যায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনব্যাপী দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদের এ নিয়োগ পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতি এবং অনিয়মের এ অভিযোগ ওঠে।
পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আগে যে অনিয়ম ছিল তা এখনও চলছে। যখনই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে আমরা প্রতিবাদে নেমে যাই। আমরা একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর পরীক্ষার চাই।
আরেক পরীক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সিট প্লানিং নাই। অপরদিকে মোবাইল নিয়ে অনেকে পরীক্ষা দিচ্ছে, আবার দেখা গেছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় অনেকেই উত্তর মোবাইলে নিয়ে উত্তর দিচ্ছে। তাই আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরীক্ষা পরিচালনায় নিয়োগ পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট পুরাতন কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।’
এদিকে নিয়োগ কমিটির উদাসীনতাকে দায়ে করছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। পরীক্ষার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সেই সাথে কলেজের কোনো শিক্ষককে পরীক্ষায় দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এরকম পরিস্থিতির দায় আদালত সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে বলে জানান মকবুলার রহমান (এমআর) সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম।
পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান জানান, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে আগে থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় দাবি নিয়োগ কমিটির। এছাড়া পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম হলে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।