 
																
								
                                    
									
                                 
							
														
প্রযুক্তির নতুন বিষফোঁড়া ডিপফেক। এটি এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে মানুষের মুখ ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও তৈরি করা যায়। এই নেতিবাচক আক্রমণের শিকার মূলত নারী তারকারা হচ্ছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হলো মার্কিন পপ সেনসেশন টেইলর সুইফট।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) তার একটি আপত্তিকর ছবি ছেড়ে দেয় অজ্ঞাত কেউ। যেটা বাতাসের বেগে ছড়িয়ে যায় চারদিকে। কইমই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র ১৭ ঘণ্টায় ছবিটি দেখছিল ৪৫ মিলিয়নের বেশি এক্স ব্যবহারকারী!
কিন্তু ছবিটি আসলে ভুয়া, প্রযুক্তির সাহায্যে বানানো। বিষয়টি বুঝতে পারেন সুইফটের ভক্তরা। তাই প্রিয় তারকার জন্য ঢাল হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। যার সুবাদে ১৭ ঘণ্টা পর ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে যায়। এ নিয়ে এক ভক্ত বলেছেন, ‘টেইলর সুইফটকে রক্ষা করো, যেভাবে তিনি রক্ষা করেন ভক্তদের। সুইফটিরা (ভক্ত) তাদের সেরাটা দেখিয়ে দিয়েছে। ছবিটি যে বানিয়েছে, সে এখন নরকে; বিশ্বের সব সুইফটিকে ভালোবাসা।
আরেক ভক্তের মন্তব্য, এআই দিয়ে তার নগ্ন শরীরের ছবি বানানো যৌন হয়রানি। এরকম কাজ আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত।
যদিও টেইলর সুইফট নিজে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তার এক ঘনিষ্ঠজন ডেইলি মেইলকে বলেছেন, ‘আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সেটা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এটুকু পরিষ্কার, এরকম ভুয়া ডিপফেক ছবি আপত্তিজনক ও হেনস্থার সমান। যে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তবে এমন ছবি সব জায়গা থেকেই মুছে দেওয়া উচিত। টেইলর ও তার কাছের মানুষেরা বিষয়টি নিয়ে শঙ্কায় আছেন; আর তার ভক্তরা তো অবশ্যই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এদিকে টেইলর সুইফটের ডিপফেক ছবি ভাইরালের ঘটনায় হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একটি লিখিত বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগজনক। তাই আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, আমরা সেটাই করতে যাচ্ছি।
এখানেই শেষ নয়, মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলাও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তার ভাষ্য, ‘এটা উদ্বেগজনক এবং ভয়ংকর। আমি মনে করি, এই বিষয়ে আমাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, এর আগে হলিউডের টম ক্রুজ, টম হ্যাঙ্কস, এমা ওয়াটসন, স্টিভ হার্ভিসহ অনেকেই ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার হয়েছেন। এছাড়া ভারতে ক্যাটরিনা কাইফ, রাশমিকা মান্দানাসহ বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর এমন ভুয়া আপত্তিকর ছবি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। যা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্যান্য তারকারাও।