বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালাকে নিয়ে বায়োপিক নির্মাণের আলোচনা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রস্তুত চিত্রনাট্য, এমনকি প্রস্তুত পরিচালক জসমীত কে রিন। কিন্তু বাজেট সঙ্কটে থমকে আছে সিনেমার কাজ।
শুরুতে ৮০-১০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিলো বায়োপিকের খরচ। কিন্তু পরবর্তীতে নির্মাতা, সনি, ব্রিউইং থটস এবং মধুবালা পিকচার্স বাজেট নিয়ে কাজ করতে বসে দেখেন, যা ভাবা হয়েছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হবে এর নির্মাণে। বিশেষকরে সিনেমার সময়, কস্টিউম, সেট ডিজাইন বাড়িয়ে দিয়েছে বাজেট।
সিনেমা সংশ্লষ্টরা চাইছেন, মধুবালার মতো একজন কিংবদন্তি অভিনেত্রীর বায়োপিকের যথাযথ ন্যায়বিচার করা উচিত। সেইসাথে হওয়া উচিত যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ। কিন্তু আর্থিক কারণে ছবিটি বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে। এখন কাজটি শেষ করতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই সিনেমার বাজেট কমিয়ে আনা হয়েছে।
নির্মাতা রিন এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চিত্রনাট্যটি খুব সুন্দর। এটি খুবই ইমোশনাল ও বিস্তারিতভাবে লেখা হয়েছে। কিন্তু কেউই এমন প্রকল্প চায় না, যেখানে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় হয়। তাই, বাজেট অর্ধেকে কমিয়ে আনা হয়েছে।’
আপাতত, সংশোধিত আর্থিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও অভিনেতাদের সাথে আলোচনা বন্ধ রাখা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। এর আগেই ঠিক করা হবে অভিনেতা-অভিনেত্রী।
বলা প্রয়োজন, ভারতীয় সিনেমার ‘শুক্র’ বা ভারতীয় সিনেমার ‘ভেনাস’ নামে পরিচিত মধুবালা। নিজের অসাধারণ সৌন্দর্য, প্রতিভা এবং আকর্ষণীয় পর্দা উপস্থিতি দিয়ে দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন তিনি। আসন্ন ছবিটি তার জীবনের গল্প বলবে। তার দারুণ অভিনয়, ভারতীয় সিনেমায় তার রেখে যাওয়া চিহ্ন এবং সেই সময়ে চলচ্চিত্র জগতে একজন নারী হিসেবে তার সংগ্রামকে তুলে ধরবে।
উল্লেখ্য, বায়োপিকটি প্রযোজনা করছে সনি পিকচার্স ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাকশন এবং ব্রিউইং থটস প্রাইভেট লিমিটেড। এছাড়া, মধুবালার বোন মধুর ব্রিজ ভূষণ এবং মধুবালা ভেঞ্চারসের অরবিন্দ কুমার মালব্য এই প্রকল্পের সহ-প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন।