পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বামী ও শ্বাশুড়ির থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী। অভিযোগ দেয়া ওই ভুক্তভোগী নারীর নাম কাজী শাহরিয়া সম্পা। সে দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামর মেয়ে। অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম জুলফিজুর রহমান ও তার মা হামিদা বেগম।
তাদের বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি বাজারে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল আজিজ শাহ। সে জীবিত থাকা অবস্থায় দীর্ঘদিন সুন্দরদীঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী হামিদা বেগম সুন্দরদীঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন।
লিখিত অভিযোগ জানা যায়, জুলফিজুর রহমান তার স্ত্রী কাজী শাহরিয়া সম্পার প্রায় ৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। এরপর তাদের জেনিফা রহমান নামে এক সন্তানও জম্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই বদমেজাজী স্বামী জুলফিজুর রহমান তার মা হামিদা বেগমের ইন্ধনে তার স্ত্রী সম্পাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। তাকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতো।
গত ১১ জুলাই রাতে সম্পাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। পরে সম্পা বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করলে ফুলবাড়ী বাজার হতে কিছু ব্যক্তি আসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য অটো বাইকে উঠিয়ে দেন। পরে সম্পা আহত অবস্থায় দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ১৭ জুলাই দেবীগঞ্জ থানায় জুলফিজুর রহমান ও হামিদা বেগমের নামে দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
কাজী শাহরিয়া সম্পা জানান, জুলফিজুর রহমান এর আগে আরো তিনটি বিয়ে করেছিলেন। সে প্রত্যেকটি বউকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতন করে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। জুলফিজুরের বাবা তারা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকার কারনে ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনি ও মামলা করতেও সাহস পায়নি। এখনো সে আগের বউদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।
সম্পা আরও জানান, হামিদা বেগম তার ছেলেকে উস্কানী দিচ্ছে আমাকে ও আমার মেয়েসহ বাড়ি থেকে বের করে দেবার জন্য। তারা একের পর এক বউ নিয়ে আসবে আর কয়েক বছর রেখে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিবে। এটা তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। আমি জুলফিজুর ও হামিদা বেগমের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, সম্পা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।