পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান তেলের খনি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় তেঁতুলিয়া সচেতন নাগরিক কমিটি নামের একটি সেচ্ছাসেবি সংগঠন এই মানববন্ধন আয়োজন করে।
মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা অংশ নেন। সংগঠনটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানবিস আইনজীবি রাশেদুল করিম, সোহবার হোসেন, আব্দুল বাসেদ, সরকার হায়দার।
বক্তারা বলেন ১৯৮৭ সালে ভুকম্পন জরিপের মাধ্যমে শালবাহানে তেলের খনি আবিস্কৃত হয়। ১৯৮৮ সালের ১০ মে তৎকালীন রাস্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ তেল কূপ খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর চুড়ান্ত ভাবে ১৯৮৯ সালে তেল উত্তোলন শুরু হওয়ার কথা।
ফ্রান্সের ফরাসল (ফস্টাল) নামের একটি কোম্পানীকে তেল আরোহনের জন্য নিযুক্ত করা হয়। ৮ হাজার ফিট গভীর থেকে ১২ ইঞ্চি ব্যসার্ধের একটি কুপের মাধ্যমে তেল আরোহন শুরু হওয়ার কথা। সে সময় প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা ঢাকার শেরাটনে হোটেল থেকে একাধিকবার হেলিকপ্টারে করে শালবাহানে যাতায়াত করতো। এজন্য একশ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ খবর বিবিসিসহ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফরাসল কোম্পানীও সবকিছু গুটিয়ে রাতারাতি চলে যায়। আজও এর রহস্য উম্মোচন হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, সেই ফরাসল কোম্পানী শালবাহান তেল খনির অপর প্রান্তে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ থানার জমাদার পাড়া গ্রামে খনন কার্য শুরু করে বলে জানা যায়। অনেকে বলছে ভারত সরকার অদৃশ্য ভাবে সেখান থেকে তেল উত্তোলন করছে। ভারতের চাপে এই খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বক্তারা বলেন, অচিরেই শালবাহান তেল খনি কেন বন্ধ করা হয়েছে এজন্য সরকারের তদন্ত করা প্রয়োজন। তদন্ত করে পুনরায় তেল উত্তোলনের দাবি জানান তারা। সরকার শিঘ্রই উদ্যোগ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনরেও কর্মসুচী গ্রহণ করা হবে । সমাবেশ শেষে র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা তেঁতুলতলায় এসে শেষ হয়।