আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তিন জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টায় গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াপাড়া পৌর কবরস্থান থেকে নিহত ইমন তালুকদার ও রমজান কাজির লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। পরে তাদের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সী ও রন্টি পোদ্দার। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির সাজেদুর রহমান, এসআই মুরাদ, এসআই শহিদুল ইসলাম, এপিবিএন ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে, গত বুধবারের সংঘর্ষে নিহত চার জনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় মারা যান রমজান মুন্সি। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মুরাদ হোসেন ও এসআই শহিদুল ইসলাম উক্ত রমজান কাজী ও ইমন তালুকদারের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পুনরায় দাফন করা হবে। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।
ময়নাতদন্ত শেষে তিন জনের মরদেহ আজ পুনরায় দাফন করার কথা রয়েছে।