শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
Title :
দেবীগঞ্জে বনবিভাগের জব্দকৃত সিংহভাগ গাছ হজম করে দিলেন বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন পুলিশ সুপার পঞ্চগড়ে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত -পলাশ সভাপতি,মুসা সাধারণ সম্পাদক বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা-আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ-গাড়ী ভাংচুর নব নির্বাচিত বিটিজেএ এর নেতৃবৃন্দের সাথে চিত্র সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা বিনিময় মেহেরপুরে সুমিষ্ট কমলা ও মাল্টা চাষে সফল নুরুজ্জামান রুবেল মেহেরপুরের মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তাই নিয়ে আমরা কাজ করছি-ফরিদা আখতার

আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে গারো পাহাড়

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২১৯ Time View
আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে গারো পাহাড়
আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে গারো পাহাড়

দেশীয় গাছ রোপণে আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়। এক সময় গারো পাহাড় বিভিন্ন প্রাণির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত থাকলেও বৃক্ষ নিধনে সেই সুনাম নষ্ট হয়ে যায়। তবে সুফল প্রকল্পের আওতায় এই পাহাড়গুলো আবারও পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।

গারো পাহাড় এক সময় বন্য হাতি, বাঘ, হরিণ, বন্য শুকর, বনমুরগী, অজগর সাপসহ বিভিন্ন প্রাণি ও বৃক্ষের অভয়ারণ্য ছিল। ৯০ এর দশকে সামাজিক বনায়নের নামে আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করে ধ্বংস করা হয় পশু-পাখিদের এই আবাসস্থল।

ভুল বুঝতে পেরে পাহাড়ি বনাঞ্চল সংরক্ষণের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বিষয়টি মাথায় রেখে তিন বছর আগে ১ হাজার হেক্টর জমিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে টেকসই বনায়ন জীবিকায়ন—সুফল প্রকল্পের আওতায় রোপণ করা হয় দেশীয় ফল এবং ঔষধি গাছ। এরই মধ্যে প্রকল্পটির ফলাফল আসতে শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, এখন ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসতে শুরু করেছে। বন্য শুকর, বানর ও বড় বড় সাপও এখন দেখা যায়। সুফল প্রকল্পের ফলে বনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আবারও আগের মত বন্য প্রাণি ও পাখিরা ফিরে আসবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের শেরপুরের বালিজুরি রেঞ্জের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এখানে বন্য পশু-পাখির তেমন কোনো আনাগোনা ছিল না। এখন সাপ, বন্য শুকর, বানর, হরিণসহ বিভিন্ন ধরনের পাখির সমারোহ ঘটছে।

রবিউল ইসলাম বলেন, সুফল বাগান হওয়াতে এ এলাকায় ফলের চাহিদা, ঔষধি গাছের চাহিদা, আয়ুর্বেদিক ঔষধি গাছের চাহিদা মিটবে। উপকার ভোগীরাও বেশ সুবিধা পাবে।

ময়মনসিংহ বিভাগের বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আগের বনায়নের পরিকল্পনায় পশু-পাখিদের খাবার ও আবাসের জায়গা ধ্বংস হয়েছিল। তবে এখন বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করায় বনের পরিবেশ আগের থেকে ভালো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৩০ থেকে ৩১ রকমের বাগান করার মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin