নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে আছে। ভোট না হওয়ার মতো কোনো অবস্থা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে রাজনীতিবিদসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন কার্যক্রম এ মাসে শেষ হতে পারে বলে জানান তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশ করেছে ইসি। ওই সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েক জেলায় আন্দোলন হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। এ কমিশনার বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানি না, আমাদের নলেজে নেই। আর বিষয়গুলো হলো আঞ্চলিকতার প্রশ্ন, রাজনৈতিক বিষয়। এখন সেগুলো স্থানীয়ভাবে কিভাবে সমাধান হবে। আরও কিছু সময় গেলে বোঝা যাবে। তিনি বলেন, কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা এবং যৌক্তিক দাবি-আপত্তি বিবেচনায় নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে কোনো আদালতে কোনো অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের ভাষায় কোনো লাভ আছে বলে আমি মনে করি না।
সীমানা পুনর্নির্ধারণে শতভাগ কোনো মানদণ্ড অনুসরণ করা সম্ভব নয় জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, একবারে ১০০ ভাগ করা খুব কঠিন। কারণ আমাদের দেশের জিওগ্রাফিক্যাল যে বৈশিষ্ট্য, সে কারণে আমাদের প্রশাসনিক বিন্যাস স্থানীয় সরকার ইউনিটগুলো ভৌগোলিক কারণে বা যে কোনো কারণেই ইউনিফর্মিটিভে একটু পার্থক্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন-সরকারের এমন সংশোধনীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা আরপিও সংশোধনের যে প্রস্তাব করেছি, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরেই চূড়ান্ত হবে। আইন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার কারণটাই হচ্ছে যে, অন্যান্য আইনের সঙ্গে ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় কিনা। প্রচলিত বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় থাকে কিনা। এ বিষয়গুলো তারা দেখেই চূড়ান্ত করবেন। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের অগ্রগতির বিষয়ে এ কমিশনার জানান, মাঠপর্যায়ের প্রায় সব প্রতিবেদন একীভূত হয়ে গেছেৃ। অল্প কিছুদিনের ভেতরেই বাকি কাজটুকু শেষ করব। আশা রাখি এক সপ্তাহের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তির জন্য চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, নিবন্ধন দেওয়ার বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।