নন্দিত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিদায় জানানো হয়েছে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা থেকে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ যোহর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখান থেকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। মা-বাবার কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন শিল্পীর মেজো ছেলে ইমাম নাহিল সুমন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ফরিদা পারভীনের মরদেহ নেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ যোহর জানাজার নামাজ শেষ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ার দিকে।
বলা দরকার, বেশকিছু দিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন ফরিদা পারভীন। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায়। লালনের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও ১৪ বছর বয়সে তার পেশাদার সংগীতজীবনের শুরু হয়েছিল নজরুলসংগীত দিয়ে। ১৯৬৮ সালে তিনি রাজশাহী বেতারে শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। দেশাত্মবোধক গানের জন্যও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। সংগীতে অবদানের জন্য ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।