মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
Title :
যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য মিছিল লামায় তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপকরণ বিতরণ শেরপুরে পৃথক আয়োজনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গোমস্তাপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আলীকদমে পাহাড়ি কৃষকদের জীবনে নতুন সম্ভাবনা মিষ্টি কুমড়া চাষ তারেক রহমানের ডাকে পটুয়াখালীর চার আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮ নেতা গুলশানে মোবাইল ব্যবসায়ীকে ছাত্রলীগ নেতা বানিয়ে গ্রেপ্তারের অভিযোগে সরাইলে জামায়াত-বিএনপি ও ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন পঞ্চগড়ে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে নেপালে পাঠানো হলো আলু গলাচিপায় নারী নির্যাতন মামলায় এনজিও কর্মী এমদাদ গ্রেফতার পঞ্চগড়ে ভাসুরের শাবলের আঘাতে প্রাণ গেলো ছোট ভাইয়ের স্ত্রী’র

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ১১ অনিয়মের অভিযোগ

ওয়ান নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২০ Time View
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ১১ অনিয়মের অভিযোগ
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ১১ অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে কোনও আসন লাভ করতে পারেনি ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। তবে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের পর এবার ১১ অনিয়মের অভিযোগ তুললেন তারা।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অসঙ্গতি তুলে ধরেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিলেও প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং কিছু গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। হাজারো শিক্ষার্থীর ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

তিনি বলেন, আইন ও বিধি অনুসারে বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে।

তার দাবি, এই নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসেবে ঠাঁই পেতে চলেছে। একইসঙ্গে এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অন্যতম স্তম্ভ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পথে ফিরে এসে যথাযথ তদন্তপূর্বক সত্য প্রকাশ করবে।

এ সময় তিনি ডাকসু ভোটে ১১টি অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো–

১. ভোটার উপস্থিতির আগেই ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর দেওয়া এবং নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার সরবরাহসহ নানা জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভোটার তালিকা ও সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে আবেদন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

২. ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকায় কারচুপির সুযোগ তৈরি হয়। এছাড়া ছাপানো, বিতরণ করা, ব্যবহৃত ও ফেরত ব্যালট পেপারের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। প্রার্থীরা বারবার এ বিষয়ে তথ্য চাইলেও প্রশাসন কালক্ষেপণ করেছে।

৩. নির্বাচনি ব্যালট কোন প্রেসে ছাপানো হয়েছে, তা গোপন রাখা হয়। পরে নীলক্ষেতের এক ছাপাখানায় বিপুল সংখ্যক ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

৪. ভোট গণনা মেশিন ও সফটওয়্যার যাচাই প্রক্রিয়া গোপনে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থী ও ভোটারদের কাউকে জানানো হয়নি। ফলে ভোট গণনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

৫. প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে পোলিং এজেন্ট নেওয়ার কথা থাকলেও ভোটের আগের রাতেই তালিকা প্রকাশ করে অনেক প্রার্থীর প্রস্তাবিত এজেন্টকে বাদ দেওয়া হয়। এজেন্ট বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও গোপন রাখা হয়।

৬. যথাসময়ে এজেন্টদের আইডি কার্ড সরবরাহ করা হয়নি। ফলে অনেক এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেননি। এ কারণে একাধিক কেন্দ্রে পক্ষপাতদুষ্ট পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

৭. প্রার্থীদের জানানো হয় আটটি কেন্দ্রে ভোট হবে, কিন্তু নির্বাচনের দিন দেখা যায়, ১৮টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। এতে নির্দিষ্ট একটি প্যানেল ছাড়া বাকিরা পর্যাপ্ত এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারেননি।

৮. পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রেও অস্পষ্টতা ছিল। চিফ রিটার্নিং অফিসারের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরাসরি নিয়োগ দেয়। অনেক পোলিং অফিসার আচরণবিধি সম্পর্কে ধারণাহীন থেকে সাংবাদিকদের কাছে ভ্রান্ত তথ্য সরবরাহ করেন।

৯. নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড সদস্যদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাদের সহায়তায় বহিরাগতদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন বহিরাগতকে শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রক্টর অফিসে সোপর্দও করে।

১০. ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের কার্যত নিষ্ক্রিয় রাখা হয়। অনেক এজেন্টকে গণনা প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। ফলে অধিকাংশ এজেন্ট রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

১১. অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের পাশাপাশি দুপুরের পর অনেক বুথে মার্কার পেন ফুরিয়ে যাওয়ায় ভোটারদের বলপেন ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়। বলপেনে দেওয়া ভোট ওএমআর মেশিনে গণনা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। আঙ্গুলে দেওয়া কালি অস্থায়ী হওয়ায় একাধিক ভোটদানের সুযোগ থেকেছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: FAZLY RABBY
Tuhin