বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনের পর দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ঢাকা ও বাইরের অনেক সংগঠকরা। সদ্য বিসিবির নির্বাচন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি বলে আবারও তারা অভিযোগ করলেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠকরা ঢাকার লিগ, বিভাগীয় ও জেলার ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
সাবেক দেশসেরা ওপেনার তামিম বলেছেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার। আমি মনে করি না যে এটা কোনও ইলেকশন ছিল। যেভাবে জিনিসগুলো ঘটেছে, আমি ছোট্ট একটা পয়েন্ট ধরিয়ে দিতে চাই। আমি যেহেতু দেশের বাইরে গিয়েছিলাম, তাই ই-ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। মিডিয়ায় দেখতে পাই, আমার ভোট নাকি কাস্ট হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এরপর ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেই এবং নির্বাচন কমিশনকে একটা ই-মেইল দেই। সেখান থেকে গতকাল (মঙ্গলবার) আমাকে জানানো হয়, আমার ভোট কাস্ট হয়নি।’
তামিম আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমি যদি ভুল না করি তাহলে নির্বাচনে ৪২ বা ৪৩টা ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি ভোটই ছিল ই-ভোট। আপনি সেন্টারে যেতে না পারলে ই-ভোটিংয়ের সুবিধা নিতে পারেন। কিন্তু ৩৪টি ই-ভোট দেওয়া প্রত্যেকেই সেদিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল! ১২ জন যারা ডিরেক্টর হয়েছেন, তারা প্রত্যেকে ই-ভোট কাস্ট করেছে। এটার মোটিভ কী? উনাদের কাজকর্মেই কিন্তু এসব প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রেই আছেন, তাহলে ই-ভোটিংয়ের প্রয়োজনটা কী?’
এক প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বিষয়ে আপনাদের কম-বেশি ধারণা আছে। আপনি সত্যিই মনে করেন ১৫টা ক্লাব থাকুক বা না থাকুক—আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট করতো না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনও বিকল্প ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া। এটাই ছিল আমার স্ট্যান্ড।’
নির্বাচন করলে পরিচালক হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জানিয়ে তামিম বলেছেন, ‘আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে, বিপক্ষে কোন টিম আছে। তারপরও আমি সহজেই পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ ছিল না। কারণ আমি এটা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’
মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান বলেছেন, ‘গত ৬ তারিখের নির্বাচন কারচুপির সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা এই নির্বাচনটাই মানি না। আমাদের হিসাবে নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবৈধ। যেহেতু ক্রিকেটের সৌন্দর্যই হারিয়ে গেছে, তাই আমরা ঘোষণা দিচ্ছি যে প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে শুরু করে সব স্তরের লিগে আমরা আর অংশ নেবো না। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। জেলা পর্যায়েও এই বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে।’