কুষ্টিয়ায় আদালতের এজলাস কক্ষে ধারালো ছুরিসহ জুম্মান খান (২৬) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোর্ট পুলিশের এটিএসআই আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া আদালতের কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করছি, বড় ধরনের কোনো অপরাধ ঘটানোর জন্য আগে থেকে এজলাসকক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আটক জুম্মান কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার একরাম খানের ছেলে। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে তিনটা মামলা রয়েছে।
কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে কোর্ট পুলিশের সদস্যরা আসামি নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের পঞ্চম তলায় সদর কোর্টে হাজির হয়। আদালতের বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগে এজলাস কক্ষে আগে থেকে বসে থাকা সবাইকে বাইরে বের হয়ে যেতে বলা হয়। এ সময় সবাই বের হয়ে গেলেও জুম্মান খান বসেই থাকেন। তাঁর কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হলে কোর্ট পুলিশের সদস্যরা দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পেছন পকেট থেকে ১৩ ইঞ্চি লম্বা একটি সুইচ গিয়ারের ড্যাগার বা ছুরি উদ্ধার করেন। পরে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, এজলাস কক্ষের ভেতর ধারালো ছুরি রাখার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। কোর্ট পুলিশের এটিএসআই মামলাটি করেন। আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।