
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে জেলায় নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয়ে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে একাদশীর শুভ উপলক্ষে জেলার কাশিবুগার ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে ভিড়ের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পদদলনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
মন্দির থেকে পাওয়া ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা গেছে, সেখানে ব্যাপক ভিড়। মন্দিরে শত শত নারী পূজার থালা হাতে সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কি করছেন এবং প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। পরে মন্দির প্রাঙ্গণে একাধিক মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এক কোণে এক আহত নারীকে ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে দেখা গেছে।
অনেকে আহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, আবার কেউ শ্বাসকষ্টে কাতর অন্যদের টেনে বের করার চেষ্টা করেন। অচেতন হয়ে পড়া কয়েকজন নারীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসাকর্মীরা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অনেক ভক্ত একসঙ্গে সামনে এগোতে ঠেলাঠেলি শুরু করলে একটি রেলিং ভেঙে পড়ে এবং লোকজন হুড়মুড় করে একজন আরেকজনের ওপর গিয়ে পড়েন। এরপর শুরু হয় হুড়োহুড়ি।
কাশিবুগ্গা মন্দির “মিনি তিরুপতি” নামে পরিচিত। রাজ্যের হাজার হাজার মন্দির পরিচালনাকারী সরকারের এন্ডাওমেন্টস ডিপার্টমেন্টের অধীনে নয়। সরকারি সূত্র জানায়, মন্দির কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে একাদশীতে এত বড় ভিড় হবে তা জানায়নি। যেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকায় নির্মাণ কাজ চলছিল এবং প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য মাত্র একটি পথ ছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পদদলনের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবার প্রতি ২ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজিরও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।