বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫, বাড়িঘর ভাংচুর মেহেরপুরে ৪টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২ দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ গাজার ২১ লাখ বাসিন্দা রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১০, বাড়িঘর ভাংচুর গেজেটের নির্দেশনা অনুযায়ী আ.লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এপেক্স ক্লাবের ৩৩ তম পালা বদল অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত গাংনীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে আস্ত্র ও বোমাসহ গাঁজা উদ্ধার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় পঞ্চগড়ে জামায়াতে আনন্দ মিছিল

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা জেলায়

ওয়ান নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২১৫ Time View
ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা জেলায়
ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা জেলায়

প্রতিদিনই তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙছে চুয়াডাঙ্গা। এবার জেলার ইতিহাসে স্মরণকালের রেকর্ড তাপমাত্রা অতিক্রম করেছে। সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এই জেলার জানা ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ১৯৮৫ সালে ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল এই জেলায়। আর কখনও এর বেশি তাপমাত্রা এই জেলায় রেকর্ড হয়নি। চুয়াডাঙ্গায় আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনের পর ২০১৪ সালে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সালের ২২ মে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২০১৬ সালের ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টানা ১৮ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। কখনও তীব্র আবার কখনও খুব তীব্র আকার ধারণ করছে জেলার তাপপ্রবাহ। এতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবন। দিন এবং রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের আলো ফোটার পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিবেশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রকট হচ্ছে রোদের উত্তাপ। আবার সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরমে পরিবেশ আরও জটিল করে তুলছে। তীব্র হচ্ছে গরমের অনুভূতি। বৃষ্টির পানির জন্য হাহাকার করছে মানুষ।

সকাল সকাল শ্রমজীবী মানুষ কাজের সন্ধানে বেরিয়েও ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। একটু কাজ করার পরই কাহিল হয়ে পড়ছেন। বিশ্রাম নিচ্ছেন গাছের নিচে। টানা দাবদাহে এ জেলার মানুষ ও প্রাণীকুল ওষ্ঠাগত। নাকাল এ অঞ্চলের জনজীবন।

শহরের বড় বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী শিমুল লস্কর জানান, ফুটপাতে বসে ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে। রাস্তা থেকে যেন আগুনের আঁচ উঠছে। শরীরের চামড়ায় ফোসকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঘরেও তো বসে থাকা যাচ্ছে না। কাজের জন্য সড়কের পাশে বসতেই হচ্ছে।

আরেক পাখিভ্যান চালক আব্দুর রহিম জানান, শহরে মানুষজন বেরই হচ্ছে না। যারা বের হচ্ছে তাও সন্ধ্যার পর। দিনের বেলায় রোদের তাপ আর রাতের বেলায় ভ্যাপসা গরমে কাজকর্ম করা যাচ্ছে না। কঠিন হয়ে পড়ছে সবকিছু।

আবহাওয়া নিয়ে সুখবর দিয়ে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, বুধবার থেকে (১ মে) তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পেতে পারে। ৫ মে এর পর চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: FAZLY RABBY
Tuhin