ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন হাট-বাজারে সব ধরণের চালের দাম বেড়েছ। পাইকারী বাজারে কেজিতে ২ থেকে আড়াই টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে বেড়েছে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। এতে হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। তবে পাইকারী ব্যবসায়দের মতে, ধানের দাম বাড়ায় চালের বাজার কিছুটা উর্ধ্বমুখী হলেও বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করার কথা।
গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাট বাজারে বেড়েছে সব ধরণের চালের দাম । পাইকারি বাজারে চিকন মোটা সব ধরনের চাল কেজি প্রতি ২ থেকে আড়াই টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা। পাইকারী বাজারে বর্তমানে (প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ) বিআর – ২৮ ও বিআর -২৯ চাল ২৭শ ৫০ টাকা থেকে ২৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজির শাইল ৩ হাজার টাকা থেকে ৩১শ টাকা ও কাটারিী ভোগ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান , বর্তমানে মোকামে প্রতিমণ ধানের দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ধানের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে । তবে বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার । খাদ্য বিভাগ জানায় চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য বান্ধব কার্যক্রমের আওতায় জেলায় প্রায় ৭৮ হাজার ৩শ ৪৬ জন ভোক্তাকে ন্যয্যমূলে চাল দেয়া হবে । প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩ মাস ব্যাপী তা চলমান থাকবে।
বন্যার কারনে চালের বাজার দর কিছুটা বাড়লেও চলমান ওএমএস কার্যক্রমের পাশাপাশি চলতি মাস থেকেই সরকার ৩ মাস ব্যাপী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী গ্রহন করায় দ্রুত চালের বাজার দর কমার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এদিকে খাদ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা ।