পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমি কেনার এক বছর পর জমি দখল পেলেন ভুক্তভোগী আবুল কালাম। জানা যায়, সেলিম হোসেনের কাছ থেকে আবুল কালাম জমি কিনে নেন ১ বছর আগে ৷ সেলিম হোসেন আবুল হোসেন সরকারের ছেলে।
তার বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার খুটামারা পারঘাট এলাকায়। জমি কেনার ১ বছর পার হয়ে গেলেও জমি দখলে যেতে পারেননি আবুল কালাম। আবুল কালাম দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের খুটামারা পারঘাট এলাকার হামিদুল ইসলাম তন্ডুর ছেলে।
আবু কালাম জানান, ১৭৫২ খতিয়ানের ৪২৯৪ নম্বর দাগে সাড়ে ১৩ শতক ও ৪২৮৭ নম্বরের দাগে সাড়ে ৮ শতক জমি কিনে নেই। সে জমি তখন খুটামারা বোর্ডেরহাট এলাকার নিজাম উদ্দীনের ছেলে আসাদুর রহমানের কাছে লিজ দেয়া ছিল। জমিটি রেজিষ্টি করার পর কেনা সে জমিতে আমি দখলে যেতে পারতাম না। জমি দখল করতে গেলেই আসাদুর রহমান লোকজন নিয়ে বাধা দিতো। পরে আমি দেবীডুবা ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। সে অভিযোগের ভিত্তিতে পরিষদে সালিশ হয়। সেখানে জমির কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে আমাকে উক্ত জমিতে দখলে যেতে বলেন।
পরিষদের সালিশে আদেশ পেয়ে আমি ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আমার দুই দাগে ২২ শতক জমি দখল পেলাম। ওই জমিতে বাড়ি করার জন্য মহেন্দ্র দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করেছি।
আসাদুর রহমান বলেন, সেলিম হোসেন ওই ২২ শতক জমি আবুল কালামের নিকট বিক্রি করার পরেও তা গোপন করে আমার নিকট ১১ লাখ টাকার বিনিময়ে জমিটি বিক্রি করার প্রস্তাব দেন। তখন আমি ৯ লাখ টাকা প্রদানও করি। বাকি ২ লাখ টাকা রেজিষ্টি করার দিন দেবার কথা। এখন আমি জমিটি রেজিষ্টি করে দেবার কথা বললে আজ না কাল এভাবে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। যখন জানতে পারি উক্ত জমিটি আবুল কালামকে রেজিষ্টি করে দিয়েছে। তখন আমি টাকা ফেরত চাই। এখন সে টালবাহনা করছে। বর্তমানে ওই ২২ শতক জমিতে আমার কোন দাবি দাওয়া নাই।
দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু সরকার বলেন, ওই ২২ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। পরিষদের মাধ্যমে সালিশ করে তা সমাধান করে দেয়া হল। আবুল কালামকে তার ২২ শতক জমি বুঝিয়ে দেয়া হল৷