মেহেরপুরে জামায়েত ইসলামীর আমিরসহ ৩৮ নেতা কর্মীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি গাংনী থানা পুলিশের দায়ের করা সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা, জনশ্রিঙ্খলা পরিপন্থী কাজ, জনমনে সৃষ্টি, অন্তঘাত মূলক কাজ সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনের ক্ষতি সাধন করার থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপোতি কুমার বিশ্বাস আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
অব্যাহত প্রার্থীরা হল মেহেরপুর জেলা জামায়েত ইসলামের আমির তাজউদ্দীন, জামাত ইসলামের সেক্রেটারি শেখ সাদি,জামায়াত নেতা রবিউল ইসলাম, রুবেল, মুস্তাফিজুর রহমান, রিপন আলী, কায়জার আলী, এরশাদ আলী, কামরুজ্জামান, কাওসার আলী, তৈয়ব আলী, ইউসুফ আলী, মোশাররফ আলি, সেলিম রেজা, হাফিজুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম, ইরফান আলী, আব্দুস সাত্তার, তবারক, মোখলেছুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, নাসির, জহিরুল ইসলাম, সোহেল, আলহাজ্ব, এরশাদ আলী, লালটু, আমিরুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, ইনারুল ইসলাম, আকরাম আলী, আরিফুল হক, সোহেল রানা ডলার, সাইফুল ইসলাম, আলামিন ইসলাম বকুল, জারর্জিস হোসাইন, রফিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন ও টুটুল।
মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাংনি উপজেলা ভাটপাড়া চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে শেখ সাদীর নেতৃত্বে জামায়েত ইসলামের নেতাকর্মীরা সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা,জনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্য, জনমনে ত্রাস সৃষ্টি, অন্তরঘাত মূলক কাজসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ক্ষতি সাধন করার উদ্যোগ গ্রহণ, নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা ও সরকার পতনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে।
এমন অভিযোগে তৎকালীন গাংনী থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা এই সকল আসামীদের আটক করে। এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৫(৩)/ ২৫- ডি ধারায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মামলার পূর্ব নির্ধারিত দিনে বিচারক মামলা থেকে সকল আসামীকে অব্যাহতি দেন।