তিন দিন নিখোঁজের পর দূর্বৃত্তদের হামলায় কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া এএসআই মুকুল হোসেনের জানাযার নামাজ শেষে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাতে পৌর এলাকার কালাচাঁদপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে নিহত ২ পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে এএসআই মুকুল হোসেন ছিলেন। নিহত মুকুল মেহেরপুরের কালা চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা লতিফ বিশ্বাস এর ছেলে।
মুকুলের মরদেহ বুধবার রাতে তার নিজগ্রাম কালাচাঁদপুরে এসে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এক পুত্র সন্তানের জনক এএসআই মুকুলের তিন ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। গত সোমবার ভোরে কুমারখালীর বেড় কালোয়া এলাকার দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিখোঁজ হন। তাঁরা হলেন কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন।
মঙ্গলবার বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর তাঁর লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
বুধবার সকাল সাতটার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে
পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে মুকুলের ময়না তদন্ত শেষে রাতে নিজ গ্রাম কালাচাঁদপুরে লাশ পাঠিয়ে দেয় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। রাত সাড়ে দশটায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।